প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
ইউএনডিপি তার অংশীদার উত্তরণের সাথে ২৮শে মার্চ ২০২২ কক্সবাজারে কানাডা সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত কমিউনিটি কোহেসন প্রজেক্টের (সিসিপি) অধীনে উখিয়া ও টেকনাফের বেকার যুবক- যুবতীদের জন্য একটি চাকরি মেলা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে, যারা সম্প্রতি বিভিন্ন বাণিজ্যে সফলভাবে দক্ষ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে। মোট ৯৯ জন প্রশিক্ষণার্থী একটি ওয়াকিং ইন্টারভিউতে অংশ নিয়েছে এবং তাদের মধ্যে ৩১ জনকে হোটেল ম্যানেজমেন্ট, কম্পিউটার এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল কাজের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। এছাড়াও, প্রচুর সংখ্যক হস্তশিল্প এবং ঐতিহ্যবাহী খাদ্য প্রস্তুতকারক তাদের পর্যটক-বান্ধব পণ্য যেমন বাঁশের কারুকাজ, তাঁত কাপড়, রাস্তার খাবার এবং আলংকারিক মোমবাতি সামগ্রী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দর্শকদের কাছে প্রদর্শন ও বিক্রয় করা হয়।
“বিশেষ এলাকায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং এই অনুষ্ঠানের আয়োজনের কিছু নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। রোহিঙ্গাদের আগমনের পর থেকে এসব এলাকা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। এখানকার জীববৈচিত্র্য থেকে সাধারণ মানুষ মারাত্মক অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে যা সহজে মেটানো সম্ভব নয়। এখানকার মানুষ প্রতিনিয়ত জীবনে পিছিয়ে পড়ছে, আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, চাকরি হারাচ্ছে। সর্বোপরি এখানকার মানুষ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে পিছিয়ে পড়ছে। তাই এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এ এলাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিশেষ করে, প্রকল্পের অংশ হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী প্রশিক্ষণার্থীরা চাকরির বাজারে সম্পৃক্ত হয়ে উদ্যোক্তা হবেন; তারা এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন জনাব মাসুদ করিম, ইউএনডিপি, কক্সবাজারের অন্যতম প্রজেক্ট ম্যানেজার।
সাহারিয়া পারভীন, প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর, উত্তরণ বলেছেন, “ এই আয়োজনের প্রধান উদ্দেশ্য হল স্থানীয় বেকার যুবকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান এবং উদ্যোক্তা তৈরি করে চাকরির বাজারে সম্পৃক্ত করা। কারণ এই তরুণদের কর্মক্ষেত্রে সম্পৃক্ত করা গেলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হবে।
তাছাড়া এই এলাকায় অনেক আদিবাসীদের বসবাস, তাই তাদের জন্যও এই প্রকল্পে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এমনকি তাদের এলাকায় আলাদা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও স্থাপন করা হয়েছে যাতে তারা সহজে প্রশিক্ষণ নিতে পারে। এই মুহূর্তে মোট ১১৫ জন নারী তাদের চাহিদার ভিত্তিতে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী থেকে বিভিন্ন ব্যবসায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
তিনি আরোও বলেন, যখন এই আদিবাসী গোষ্ঠী ক্রমশ প্রান্তিক হয়ে উঠছে, তখন এই ধরনের দক্ষতা প্রশিক্ষণ তাদের বেঁচে থাকা এবং বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে পরবর্তী প্রজন্ম তাদের সম্প্রদায়কে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে।”
এই লেখা পর্যন্ত, ইউএনডিপি’র সহায়তায়, উত্তরণ ২১০০ জন শিক্ষার্থীর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে যেখানে তাদের ৬০% জনই নারী। তারা এখন ইউএনডিপি এবং উত্তরণের সহযোগিতায় ও তাদের প্রচেষ্টায় সফল উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মীর আসগর আলী- হেড অব সাব-অফিস ইউএনডিপি, মনোয়ারা পারভীন, ভাইস প্রসিডেন্ট- চেম্বার অব কমার্স উইমেন, কক্সবাজার, সেলিম নেওয়াজ- সেক্রেটারি, হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন কক্সবাজার।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।